
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি আনতে উদ্যোগি হল সরকার। তার প্রথম ধাপ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রাথমিক স্তরকেই। ইংরেজি নতুন বছরে নতুন পথে হাঁটতে চলেছে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। ২০২৫ সাল থেকে একটি পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এখন থেকে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের দু’বার পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। জানুয়ারি থেকে জুন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই দুটি ভাগে একটি শিক্ষা বছরকে দু’ভাগ করে দুটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম সিমেস্টার হবে ৪০ নম্বরে। পরের পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। ৪০ নম্বরের পরীক্ষা কোনও লিখিত আকারে হবে না। ৪০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি, ক্লাসে আচরণ ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়নের উপর। বাকি ২০ থাকবে বিভিন্ন প্রজেক্টের ভিত্তিতে। দ্বিতীয় সিমেস্টার হবে পুরোটাই লিখিত।
একইসঙ্গে সভাপতি জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নপত্রও তৈরি করবে পর্ষদ। মূল্যায়ন করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে ২০২৫ সালে সিলেবাসে বদল হচ্ছে না। ২০২৬ সালে নতুন সিলেবাস চালু হতে পারে বলে এদিন জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। নতুন পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রেডিট বেসড সিমেস্টার সিস্টেম’।
দিন কয়েক আগে কেন্দ্র পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ, ফেল চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। পড়াশোনার দৈন্য দশা ফেরাতেই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তা পরোক্ষে মেনেও নিয়েছে নয়া শিক্ষানীতির প্রণেতারা। সেই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের মান নিয়ে। বাক্য লিখতে পারা তো দূর অস্ত, নিজের পরিচয় লিখতে গিয়েও হিমসিম খায় চতুর্থ শ্রেণির একাংশ পড়ুয়া। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর সেই অভিযোগ দূর করতে ফের প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ ফেল ফেরানোর দাবিতে সরব ছিল সব পক্ষ।
রাজ্যে অবশ্য কেন্দ্রের নয়া ফরমান আগেই চালু আছে বলে ওইদিন দাবি করেছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু তা যে অবাস্তব উক্তি তা মেনে নিতে দ্বিধা ছিল না কোনও স্কুল কতৃপক্ষেরই। এবার প্রাথমিকে গঠনগত পরিবর্তন এনে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার মান বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে মুখ বাঁচানোর প্রশ্ন কি না তা নিয়ে অবশ্য দিনভর চলল জল্পনা।
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ফলাফর কী দাঁড়ায়