সভাধিপতির জন্য লাগাম ছাড়া তেল বরাদ্দের প্রশ্নে মেলেনি উত্তর

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্ক: অবশেষে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বার্ষিক ৭৪৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার বার্ষিক বাজেট পেশ হল বার্ষিক সাধারণ সভায়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাজর্ষি মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সামসুর রহমান ও সাংসদ, বিধায়করা।

বিরোধীদের অভিযোগ, বাজেটে কৃষির জন্য বরাদ্দ নেই। অবহেলিত মাছ চাষ ও। আর যা বাজেট পেশ হয়েছে তা তৃণমূলের নেতারাই ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার জন্য নিজেদের সুবিধা মতো খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে। সাধারণ সভা থেকে বেরিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস, সিপিএমের সদস্যরা।

শুধু তাই ই নয়, সাম্প্রতিক অতীতে সভাধিপতির বিরুদ্ধে সরকারের বেঁধে দেওয়া তেল খরচ অপেক্ষা প্রায় দু-লক্ষ চুরানব্বই হাজার টাকার অতিরিক্ত তেল খরচের অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস সদস্য আবদুল্লাহিল কাফি। কেন সভাধিপতির জন্য অতিরিক্ত তেল বরাদ্দ হয়? সভায় সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন জেলা পরিষদের সিপিএম সদস্য ইমরান হোসেন। কাফি ও ইমরান দুজনেই পৃথকভাবে জানান, সভাধিপতি বা আধিকারিকরা কেউ সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি।

ইমরান বলেন, ” গরম পরে গেল। কম্বলের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু দরপত্র ডেকে কম্বল যে কবে কেনা হবে আর তার দেওয়া হবে সে প্রশ্নের মেলেনি উত্তর।”

চলতি বছরেই শুরু হবে ষোড়শ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন। এখনও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচই করতে পারেনি মুর্শিদাবাদ জেলা। বিরোধী সহ জেলা পরিষদের একাংশ সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষদের দাবি, নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবেই খরচ করা যায়নি প্রায় তিনশো কোটি টাকা। তাদের দাবি, ২২টি বিধানসভার মধ্যে ‘বাছাই করা’ কিছু বিধানসভায় নিয়মিত উন্নয়নের কাজ হয়। বাকি বিধানসভায় গড়ায় না উন্নয়নের চাকা। তাই নিয়ে বিরোধী সহ শাসকদলের জেলা পরিষদের একাংশ সদস্য ক্ষুব্ধ। আর সেই সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পর্যালোচনা বৈঠক করতে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তারপরেও সেই টাকা কোথায় কোথায় খরচ করা হবে সেই প্রশ্নও বিরোধীরা তুলেছিলেন সভায়। কিন্তু তাতেও নীরব ছিলেন শাসক। দাবি বিরোধীদের।

তাছাড়াও এদিন সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা নিজের দলের কর্মাধ্যক্ষদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। সূত্রের দাবি, সভাধিপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ও জেলা পরিষদের আধিকারিক ও দু একজন কর্মাধ্যক্ষ ছাড়া জেলা পরিষদের কাজের হিসেব কারো কাছে থাকে না, জানতেও পারে না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মাধ্যক্ষ। যদিও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান শেখ বলেন, “এইরকম কেন, কোন ও বিতর্কই হয়নি আজকের সাধারণ সভায়।”।ফোন ধরেননি সভাধিপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights