সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ওড়িশার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠল ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি’র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি রঘুবর দাস বর্তমানে ওড়িশার রাজ্যপাল। নবীন পট্টনায়ক সরকারকে সরিয়ে এবারই প্রথম ওড়িশায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সেই বিজেপি শাসনকালে খোদ ‘বিজেপি’র রাজ্যপাল’-এর বিরুদ্ধে রাজভবনের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওড়িশায়।
অভিযোগ, রাজভবনের কর্মী ( অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার) বৈকুন্ঠ প্রধান রাজ্যপালের ছেলের জন্য পুরী স্টেশনে বিলাসবহুল গাড়ি পাঠাননি। সেই ‘অপরাধে’ রাজভবনেই রাজ্যপাল পুত্র ললিত কুমার ও তাঁর পাঁচ বন্ধু সর্বসমক্ষে তাঁকে কিল, চড়, ঘুঁষি মারতে শুরু করেন। ঘটনাটি ঘটে সাত জুলাই। বৈকুন্ঠের দাবি, তিনি সেই সময় রাজ্যে রাষ্ট্রপতির সফরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ১০ জুলাই বৈকুন্ঠ এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে রাজ্যপালের মুখ্য সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বৈকুন্ঠ তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, ” ৭ ও ৮ জুলাই রাজ্যে রাষ্ট্রপতির সফর ছিল। সেই কারণে রাজভবনের একজন ইনচার্জ হিসেবে আমি ৫ জুলাই থেকে সেখানে খুঁটিনাটি প্রস্তুতি দেখতে নিযুক্ত ছিলাম।” সংবাদ সূত্রে দাবি, সাত জুলাই তিনি যখন তাঁর অফিসে বসে ছিলেন সেই সময় রাজ্যপালের রাঁধুনি এসে তাঁকে রাজ্যপাল পুত্র ডাকছেন বলে ডেকে নিয়ে যান।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যপাল পুত্রের কাছে গেলে বৈকুন্ঠকে অকথ্যভাষায় গালাগালি দিতে থাকেন ললিত কুমার। তার প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে দাবি বৈকুন্ঠের। রাজভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ঘটনার সাক্ষী দাবি করে বৈকুন্ঠের অভিযোগ, “রাজ্যপাল পুত্র বলেন, আমাকে খুন করে ফেললেও কেউ আমাকে বাঁচাতে আসবে না।”
আরও পড়ুনঃ সংবিধান হত্যা দিবসের পাল্টা মোদী মুক্তি দিবস
৮ জুলাই বিকেলে তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি রাজভবনের মুখ্যসচিবকে জানান। ১০ জুলাই তাঁকে ইমেইলেও অভিযোগ করেন। বৈকুণ্ঠের স্ত্রী সায়জের অভিযোগ, “১১ জুলাই সি-বিচ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে থানার আধিকারিকরা সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন।” ২০১৯ সালে এএসও পদে চাকরির আগে বৈকুন্ঠ ২০ বছর বায়ুসেনায় কর্মরত ছিলেন। বৈকুন্ঠের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীকে রাষ্ট্রপতির ডিউটির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। রাজ্যপালের ছেলের হুকুমা শোনার জন্য নয়।” অভিযোগকারীর দাবি, রাজভবনের ঊর্ধতন আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে তাঁর আচরণ শোধরানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।
যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজভবনের শীর্ষ কর্তারা। ফোন বা মেসেজের কোনও উত্তর তাঁরা দেননি বলেই ওই সংবাদপত্রের দাবি।