
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সদ্য জেলা ঘুরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে জাতীয় ভোটার দিবস। ক্যালেন্ডারে শনিবার, রবিবার কিংবা লাল রঙে উল্লেখ থাকে বিশেষ ছুটির দিন। অথচ সেই দিনগুলিতেও ঘাড় গুঁজে কাজ করতে হয় সরকারি কর্মীদের। স্থায়ী কর্মীদের যদিওবা ছুটি মেলে প্রয়োজনের ছুটি মেলে না অস্থায়ী কর্মীদের। ফলে চাপে বোঝা। সুস্থ শরীর অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসনের এক অস্থায়ী কর্মীর দাবি, “দশের লাঠি একের বোঝা যে হবে এ আর আশ্চর্যের কী আছে? কিন্তু আমাদেরও শরীর আছে পরিবার আছে সেগুলোই বা এড়াব কী করে?”
এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার জেলা পরিষদে ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি পালন করলেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগের আঙুল জেলা পরিষদের কর্তাদের দিকে। অভিযোগ, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ছুটি চেয়েও ছুটি না মেলা, নির্দিষ্ট সময়ের পরেও একপ্রকার জোর করে অতিরিক্ত সময় কাজ করিয়ে নিচ্ছেন আধিকারিকরা।
অথচ না আছে ওভারটাইমের সুবিধে না আছে তার পরিবর্তে ছুটি নেওয়ার সুযোগ। উল্টে আছে মানসিক চাপ। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে দুই সরকারি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের একজন কান্দি মহকুমা হাসপাতালে অন্যজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে সব জানিয়ে শুক্রবার কর্মবিরতি ডেকে কর্মীরা জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক সামসুর রহমানকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি কর্মীদের ডেকে বৈঠকে বসেন। আধঘন্টারও কম সময় বৈঠকে বসে কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। যদিও তিনি কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের চাপ ও কর্মবিরতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ” রুটিন বৈঠক ছিল।”
একদিকে সরকারি দফতরগুলিতে কর্মী নিয়োগ না হওয়া অন্যদিকে সময়ে কাজ শেষ করার জন্য নবান্নের তাগাদা দুইয়ের চাপে কার্যত অসহায় আধিকারিকরাও। বাধ্য হয়ে কাজ উতরোতে তাঁদের ভরসা করতে হয় নির্দিষ্ট ওই কর্মীদের ওপরেই দাবি মুর্শিদাবাদ জেলায় কর্মরত এক সরকারি আধিকারিকের।