
সংবাদহাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মুর্শিদাবাদ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই অশান্তির জেরে শমসেরগঞ্জের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে শমসেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত এক কিশোরে্র মৃত্যু হয়েছে।
ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে তাই মুর্শিদাবাদের উত্তরে সেনা নামানোর প্রয়োজন, সেই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিসন বেঞ্চ সেই আবেদনে সারা দিয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে ডিভিসন বেঞ্চ।
এদিকে পরিস্থিতি অবনতির কথা আন্দাজ করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জঙ্গিপুরে পৌঁছান। আদালতের পর্যবেক্ষেণ, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, তাঁদের নিরাপত্তা দিতেই সেনা নামানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যদিও শুক্রবার সাত কোম্পানির বিএসএফ এলাকায় নামানোর কথা রাজ্যই স্থির করেছিল। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” জেলাশাসক বিএসএফকে কাজে লাগাচ্ছে না।” তাই তিনি আদালতে তাঁর আইনজীবি মারফত জঙ্গিপুরে সিআরপিএফ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার দাবি তোলেন।
গত বুধবার থেকে জঙ্গিপুরের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা। সেই ক্ষোভের আগুন বাড়তে বাড়তে ওই এলাকায় দাবানলের চেহারা নেয়। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সরকারি সম্পত্তিতে। পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
লুঠপাঠ চলতে থাকে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কোনও কথাই কানে তোলেন নি আন্দোলনকারীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ শক্ত হাতে প্রথম থেকে হাল ধরলে নিরীহ তিনটে প্রাণ অকারণে ঝরে যেত না। পুলিশের দিকে অভিযোগের তীর এলাকার সাংসদ খলিলুর রহমানেরও। তিনিও পুলিশের সমালোচনা করেন। পুলিশের সমালোচনার পাশাপাশি খলিলুরের সমালোচনা করেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও। মুর্শিদাবাদ জেলা বামফ্রন্ট ঘটনার নিন্দা করে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে।