সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে ঘটনার ২৩ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অথচ স্বাস্থ্যভবন তাঁর “সম্পদ”কে এখনও সাসপেন্ড করেনি। তরুণী চিকিৎসক হত্যাকান্ডের তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই অর্থপেডিক সার্জেনকে আরজিকর থেকে সরিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পোস্টিং করা হয়। যা আগুনে ঘি ঢালে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

সেই সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর প্রশ্ন উঠছে কেন কলকাতা পুলিশ ঘটনার দিন প্রাক্তন এই অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। হাজারবার অভিযোগ জানানো সত্বেও উত্তরবঙ্গ লবির চাপেই কি মুখে কুলুপ এঁটেছিল স্বাস্থ্যভবন। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এসেছে একের পর এক দুর্নীতির কাহিনী। এদিন লালবাজারে অবস্থান বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের একটা অংশ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিতে উচ্ছসিত। অন্য অংশ প্রশ্ন তোলেন ” তিলোত্তমার ‘খুন’এর তদন্ত কতদূর? সেখানেও জড়িত সন্দীপ গ্রেফতার কবে হবে? ” তবে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন দাবি করেছেন আমার অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল। কুনাল ঘোষ বলেছেন “স্বাস্থ্য দফতর আগে পদক্ষেপ নিলে এই অস্বস্তিতে পড়তে হত না স্বাস্থ্য ভবনকে।”

তবে যত রাত বাড়ছে লালবাজার অঞ্চলে পুলিশের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চিকিৎসকরা। সেই বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, লাঠি হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের সমর্থকরা উদাহরণ হিসেবে জ্যোতি বসুর আমল তুলে আনছেন সমাজমাধ্যমে। সেখানে একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয় ১৯৮৩ সালে জ্যোতি বসু পুলিশ দিয়ে মেরে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ঠান্ডা করেছিলেন। সেই পোস্টেই বামেদের জড়িয়ে লেখা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তুলনায় বামেরা বেশি উত্তেজিত।