
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এমনিতেই ছোট শহর, উৎসবের মরশুমে তিন চাকা, দু চাকার ভিড় সেখানে লেগেই থাকে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার লালবাগে যে ভিড় হয়েছিল তা কল্পনাও করতে পারেনি মুর্শিদাবাদ পুরসভা। হাজারদুয়ারি এলাকার ভিড় এতটাই লম্বা আর ঘিঞ্জি ছিল যে তা পাঁচরাহা মোড় পেরিয়ে পুরসভা পার করে বহরমপুরের রাস্তা ধরলেও তার হাত থেকে নিস্তার মেলে নি। হাজারদুয়ারি প্যালেস না দেখেও অনেকে ফিরে এসেছেন নবাবের শহর থেকে। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধরের দাবি, ” অন্তত পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষ এদিন ছুটিতে হাজারদুয়ারি বেড়াতে এসেছিলেন। আমরা ভাবতেও পারিনি ভিড় এতটা হবে।”
আর সেই ভিড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ দুচাকায়, কেউ চার চাকায়, কেউ অটোতে কেউ টোটোতে। যাঁরা হেটে ভিড় মোকাবিলা করতে চেয়েছিলেন মাঝপথে তাঁরাও দাড়িয়ে পড়েছেন, ভিড় আলগা হওয়ার অপেক্ষায়। ভিড় সামলানোর জন্য কোনও পরিকল্পনাই ছিল না বললেন বহরমপুরের বাসিন্দা সুশান্ত দুবে। তিনি বলেন, ” আমি তো বেড়াতে আসিনি। কাজেই গিয়েছিলাম লালবাগ। দুপুর বারোটায় এখানে পৌঁছে এক ঘন্টার কাজ শেষ করে বহরমপুর যখন ফিরলাম তখন বিকেল পাঁচটা। এখানে প্রশাসন আছে বলে তো মনে হল না।”
ইন্দ্রজিৎ বলেন, ” বাইরের গাড়ি যেমন এখানে এসেছে তেমনি টুকটুকও পাল্লা দিয়ে ভিড়কে অনিয়ন্ত্রণ করেছে। বুধবার থেকে এলাকায় অতিরিক্ত ট্রাফিক দেওয়া হবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে।” তবে লালবাগের এই ভিড় দীর্ঘদিনের পর্যটকের অভাব মিটিয়েছে , বলছেন স্থানীয় মানুষজন। ইতিহাস নগরী মুর্শিদাবাদ দেখতে ভিড় হয়েছিল তবে হাজারদুয়ারি প্যালেস ও মতিঝিল এলাকায়। বাকি এলাকায় অবশ্য পর্যটকের পা তেমন পড়েনি। এই পর্যটককে সুন্দরভাবে অবশ্য ব্যবহার করতে পারত তৃণমূল পুরসভা, দাবি কংগ্রেস নেতা অর্ণব রায়ের। তিনি বলেন, ” পুর এলাকার রাস্তাগুলো ছোট হয়ে গিয়েছে।পুরসভার কোনও হুঁশ নেই। উন্নয়নের নামে এখানে গিমিক চলছে। মানুষজনকে বিপদে ফেলছে।”