কেন সরতে হল বহরমপুরের আইসি কে? অশান্তির আশঙ্কা তৃণমূলের

Social Share

বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ আগামী সোমবার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ওইদিন চতুর্থ দফার নির্বাচনে হেভিওয়েট কেন্দ্র বহরমপুর। সেই নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার সরিয়ে দেওয়া হল বহরমপুর থানার আইসিকে।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেও পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। অন্য জায়গায় আইসি বা অন্য পদাধিকারী পুলিশকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও বহরমপুর থানার আইসিকে সরায়নি নির্বাচন কমিশন। সূত্রের দাবি, বিরোধীরা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেও তা শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। কিন্তু এবার আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। সূত্রের দাবি, অধীর চৌধুরীর ভাষণের ‘বিকৃত’ হওয়া ভাইরাল ভিডিও নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করেন আইসি। যদিও পরে সাইবার থানা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভিডিওটি বিকৃত বলে জানিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ চতুর্থ দফার ভোটে অংশ নিতে ফিরছে পরিযায়ীরা

তাছাড়াও পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে বহরমপুর থানায় যোগ দেন আইসি উদয় শঙ্কর ঘোষ। তিনি এর আগে ফরাক্কা ও কালিয়াগঞ্জের আইসি ছিলেন। বহরমপুরে তাঁর চেম্বারে থাকা যে চেয়ারে তাঁর ঊর্ধতন আধিকারিকরা বসেন সেই চেয়ার আইসি ছেড়ে দিয়েছিলেন এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে। যা ভাল চোখে নেননি আইসি’র ঊর্ধতন কতৃপক্ষ ছাড়াও থানার অধঃস্তন কর্মীরাও।

গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ আইসি ক্ষমতাসীনের পক্ষে থাকায় অন্যপক্ষ থানায় অভিযোগ জানানোর সুবিধা পেতেন না। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় সেই অংশের দাবি ” ঘরে বাইরে ‘সুনাম’ খুইয়েছিলেন আইসি।” সাংবাদিক সম্মেলনে বহরমপুরে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন “আইসি নগ্নভাবে তৃণমূলের দালালি করছিল।”

তবে আইসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বহরমপুরে অশান্তির কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, “বহরমপুর শহরে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যার জন্য ভোটের আগে আইসিকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আসলে অধীর চৌধুরী বিজেপির এজেন্ট এটা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। সেই অধীর চৌধুরী বিজেপি ও সিপিএমের যৌথ চক্রান্তে আইসিকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন/ শহরে যে শান্তির পরিবেশ ছিল সেই শান্তির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে একই সঙ্গে সেদিকেও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণও করছি।”

তাঁকে কাউন্টার করে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতির কথা শুনে মনে হচ্ছে এই খবরে আজ অনেকের বাড়িতে রান্না হবে না। এক আইসি চলে গেলে আর এক আইসি আসবে তাতে অসুবিধার কি আছে? আসলে ক্যাডার চলে যাওয়ার মন খারাপ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তবে তাঁর এটা জানা উচিত থানা পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তবেই সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights