সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ লোকসভায় পাঁচরাহা রেলগেটের সমস্যার কথা চলতি মাসের শুরুতে তুলে ধরেছিলেন। রেলমন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে লিখিতভাবেই বিষয়টি সেই সময় জানিয়েছিলেন। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের আরও এক সাংসদ আবু তাহের খান, এলাকার বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখকে সঙ্গে নিয়ে স্বচক্ষে দেখে এলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। সঙ্গে ছিলেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।
রেললাইন জাতীয় সড়ককে ভাগ করেছে বেলডাঙায়। আর ওই লাইন দিয়ে দৈনিক ১৭ জোড়া রেল চলাচল করে। ফলে দীর্ঘসময় থমকে যায় ওই পথ দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল। বাদ যায় না মালবাহী গাড়িও। আর তাই নিয়েই নিত্য সমস্যা এলাকাবাসীর। বহরমপুর চুঁয়াপুরেও ছিল এক সমস্যা। বহু বছরের অপেক্ষা শেষে বছর দুয়েক আগে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও আন্ডারপাস তৈরি হয়নি। পঞ্চাননতলাতেও একই অবস্থা। কাজ শুরু হয়েও থমকে আছে অজানা কারণে।

ইউসুফের আগে এলাকার মানুষের কথা ভেবে এখানে একটি উড়ালপুল ও আন্ডারপাস তৈরির জন্য একাধিকবার রেল দফতরে চিঠি পাঠানো থেকে এলাকা পরিদর্শন কিছুই বাদ দেননি বহরমপুরের ভূতপূর্ব সাংসদ অধীর চৌধুরী। তবুও সে কাজ অধরা আজও। এলাকাবাসী রেলগেট পার হতে গিয়ে দিনরাত নিন্দা করেন রাজ্য কেন্দ্র দু-তরফের নেতাদেরই।
এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বহরমপুরে ব্যবসার সরঞ্জাম কিনতে এসেছিলেন ১১১ নম্বর ওই রেলগেট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা স্নিগ্নেন্ধু বিশ্বাস। বললেন, “দাদা সবটাই আই ওয়াশ। ২০১৪ সাল থেকে এক কথা শুনে আসছি। এও এক ধরনের নতুন বোতলে পুরনো মদ বলতে পারেন। রেলমন্ত্রী হয়ে অধীর চৌধুরীও বলেছিলেন হবে হবে। এরাও শুরু করেছে হয়ে গেল বলে।” বেলডাঙার বিধায়ক বলেন, “ইতিমধ্যে অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। এবার কাজ শুরু হবে।”
আরও পড়ুনঃ নিজের ছবি সরিয়ে সহকর্মীর রক্তাক্ত মুখের ছবি দিয়ে প্রতিবাদ পুলিশের