সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বুধবার বহরমপুরে রোড শো করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড় হয়ে মধুপুর জামতলা পর্যন্ত দেড় থেকে দু-কিলোমিটার রাস্তা কার্যত বন্ধ ছিল ঘন্টা দেড়েকেরও বেশি সময়। তারমধ্যে একাংশ ছিল জাতীয় সড়ক।বুধবার সকালে হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন “প্রতিটি বিধানসভা থেকে মানুষ আসবেন। প্রতিটি অঞ্চল থেকে মানুষজন আসবেন। ভোটের প্রচারের জন্য এইটুকু অসুবিধা মানুষ সহ্য করে নেয়।”
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে বহরমপুর
ভরতপুরের বিধায়কের কথামতো সভায় বহরমপুরের প্রতিটি কোণের মানুষ না আসলেও ভিড় ছিল অল্প বয়সীদের। সেই ভিড়কে কার্যত অস্বীকার করেননি অভিষেকও। দলের অন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল অভিষেকের সভায় ছাত্র-যুবদের ভিড়ের কৃতিত্ব ভীষ্মদেব কর্মকারের। বর্তমানে বহরমপুরের কাউন্সিলর ভীষ্ম। তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের প্রাক্তন নেতা হলেও তাঁর হাতেই রয়েছে সংগঠনের মূল চাবি কাঠি। তার অঙ্গুলি হেলনেই দলের বিভিন্ন সভায় ভিড় হয় ছাত্র-যুবদের, দাবি এক বর্ষীয়ান জেলা নেতার। কিন্তু ভীষ্ম বলছে অন্য কথা। তাঁর মতে “এটা কখনোই আমার কৃতিত্ব নয়। এই কৃতিত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক ছাত্র-যুবদের প্রাণ পুরুষ। উনি যেখানে যাবেন সেখানেই তাদের ভিড় হয়।”
আগামী সোমবার বহরমপুর লোকসভায় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অংশ নেবে নতুন ভোটাররা। যা প্রায় ৪০ হাজারের বেশি। সেই ভোট পক্ষে টানতে সক্রিয় বিজেপি। তাঁদের নেতাদের কথায় শিক্ষিত, রুচিশীল, এমএ, বিএ-রা বিজেপি’র পক্ষে সব সময় আছে। সেই কথার পুর্নব্যবহার করে বিজেপি’র বহরমপুর জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, ” যাঁদের ভিড় হয়েছিল তাঁরা সবাই ওই হাত কাটা-পা কাটা দিলীপের মত। যাদের দুষ্কর্ম করতে উৎসাহিত করে তৃণমূল। তাঁরা ছাত্র যুব নয়। ছাত্র যুবরা চাইছে চোরের সরকার, তোলাবাজের সরকার, চাকরি চুরির সরকারকে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দিতে।”
ভীষ্ম অবশ্য বলছে “আসলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের সমর্থন বিজেপি’র গাত্রদাহ। তাই এইধরনের কথা বলে বিরোধীরা।”