তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার দায়ে পুরুষ পুলিশের শাস্তির দাবি মীনাক্ষীর

Social Share

সংবাদ প্রতিনিধি, কলকাতাঃ কলকাতার একাংশ পুরুষ পুলিশ, আইন ভেঙে মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ার দোষে দুষ্ট। সে কথা জানিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ১৭ অগস্ট ইমেলে পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সেই সময় ফেসবুকে সেই ইমেলের স্ক্রীনশট তুলে চিঠির বয়ান পোষ্ট করেন মীনাক্ষী নিজেই। আইপিএস অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে যে একাংশ পুলিশ এই ধরনের “অপরাধ” করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর শাস্তির দাবিও তুলেছিলেন এই বাম নেত্রী।

ন অগস্ট রাতে আরজিকরে প্রশিক্ষণরত মহিলা চিকিৎসক ধর্ষিত ও খুনের প্রতিবাদে আর জি কর হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিল ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা পুলিশের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং পুলিশ তাদের উপর প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তকে প্রভাবিত করছে যা নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী।

সেই দাবি জানিয়ে মীনাক্ষী গোয়েলকে লিখেছিলেন ” এরপর সন্ধ্যা ৭:৩০ নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে তড়িঘড়ি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা পুলিশকে জানাই যে নিহতের পবিবারের লোকের সাথে আমরা কথা বলতে চাই এবং জানতে চাই যে পুলিশের কেউ তাদের উপর প্রশাসনিক প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করছে কিনা। নিরপেক্ষ তদন্ত সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই ধরণের কোনো প্রকার প্রভাব মুক্ত রাখা জরুরি। এইসময় উপস্থিত পুলিশের একাংশ অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্ব কোনোরকম মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিনা প্ররোচনায় সচেতনভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বুকে ধাক্কা মারে, কয়েকটি সজোরে ঘুষি চালায়, মহিলা পুলিশ ছাড়াই বহু সংখ্যক পুরুষ পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয়, মারে।” সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

সিপিকে পাঠানো মীনাক্ষীর ইমেল

সেই সময় ঘটনাস্থলে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না বলে ওই অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন মীনাক্ষী। এক মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ কান্ডের বিচার চেয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষজন মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার। এমন সময় একজন মহিলা নেত্রীর গায়ে পুলিশের একজন শীর্ষ পুরুষ কর্তা কীভাবে গায়ে হাত দিতে পারেন বিনা অনুমতিতে সেই প্রশ্নই তুলে দিল বিনীত গোয়েলকে লেখা মীনাক্ষীর এই অভিযোগ পত্র। একইসঙ্গে পুলিশ বাহিনীতে মহিলা পুলিশের সংখ্যা যে হাতেগোনা, বিরোধীদের সেই দাবিকেও এদিন মান্যতা দিল বাম যুবনেত্রীকে সরাতে পুরুষ পুলিশের বলপ্রয়োগের ঘটনা। সমাজবিজ্ঞানী অপরূপা দে’র দাবি, “বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীরও স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত করে দেখা উচিত।”

আরও পড়ুনঃ বাম যুবদের আন্দোলন কি হাইজ্যাক করল বিজেপি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights