সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ এবার নিয়ে পর পর দু’বার রেজিনগরে লিড পেল তৃণমূল। বহরমপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে এবারও সবথেকে বেশি ভোট তৃণমূল পেয়েছে রেজিনগর থেকেই। আর এবারের ভোটে জেতায় অধীর গড়ে ঘাসফুল ফুটেছে। তিনটি লোকসভা আসনেই ধরাশায়ী বিরোধীরা। উপনির্বাচনেও ভগবানগোলায় জোড়াফুলে হাত পড়েনি বিরোধীদের। তবু অশান্তি যাচ্ছে না মুর্শিদাবাদের ঘাসফুলের অন্দরে।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরের ‘Cancel Cheque’ অধীর, সাংসদ ইউসুফ
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভার মধ্যে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে রেজিনগরে। সেখানে ইউসুফ পাঠান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৮৩৪টি ভোট। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ওই বিধানসভায় বাস। এই জয়ের কৃতিত্ব তাঁর বলেই সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, “এলাকার বিধায়ক নিজের বুথেই জিততে পারেননি।”
তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখলে দেখা যায়, সেবারও রেজিনগর থেকে তৃণমূল সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছিল। আর তা চলতি বছরের ভোটের তুলনায় বেশি। সেবার তৃণমূলের অপূর্ব সরকার পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৬৯১টি ভোট। আর এবার প্রার্থী বদলিয়ে ইউসুফ পাঠান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৮৩০ভোট। দু’বারই রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। আর ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ আসন থেকে বিজেপি’র প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছিলেন হুমায়ুন। জিততে পারেন নি।
আরও পড়ুনঃ সাংসদের চেয়ার আগলে থাকবেন ‘ভরত’রা
রবিউল এদিন হুমায়ুনকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ” হুমায়ুন কী করে এই এলাকার জয়ের কৃতিত্ব পাবেন? আমার এখানে বেলডাঙার তিনটি অঞ্চল আছে। জীবনে কোনওদিন পা দিয়েছে? সেখানে পনের হাজার লিড। আমার অঞ্চলে ৩০-৪০ হাজার লিড। ও প্রচার করছে এখানে লস হয়েছে আমাদের। দাদপুর এলাকায় কোনওদিন এসেছে? এখানে সাড়ে পাঁচ হাজারের লিড। কাপাসডাঙা থেকে পাঁচ হাজারের উপর লিড। ও তো মিথ্যা কথা ছাড়া তো কিছু বলে না।” তিনি আরও দাবি করেন, “সালারেও আমাদের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেনি। সব জায়গায় কী বলেছে না বলেছে আমাদের রেকর্ড করা আছে। মিডিয়ায় থাকতে এই সব কথা বলে। চেয়েছিল অধীরের হয়ে প্রচার করতে। “
তা শুনে হুমায়ুন ফের চ্যালেঞ্জ করেন রবিউলকে। বলেন, ” ২০২৬ সালে এই এলাকায় ভোটে জেতার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। কত ভোট পাওয়া ব্যক্তি দেখা যাবে। আমি সিকিউরিটি ফরফিট করে ছেড়ে দেব। কে কার ভোট করেছে আগামী দিনে দেখাব। শক্তিপুরে ব্লকের সভাপতি গোলক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বুথে ১৪১ ভোট পেয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমানের পাড়ায় কী ফল হয়েছে খোঁজ নিতে বলুন। দুজনের এক দলে থাকব। শুধু বলব দল অনুমতি দিলে দুজনেই নির্দল হিসেবে দাঁড়াব। কে জেতে দেখা যাবে।” তাঁর অভিযোগ, কান্দি জেতার জায়গা। আমি যা লিড পেয়েছিলাম ভরতপুরে তার থেকে কম ভোট পেয়েছে। প্রচারে অপূর্ব সরকার, টারজান, সুমনের ছবি আছে। আমার কোনও ছবি নেই। সেখানকার ভোটের দায় তো ওদেরই নিতে হবে।”